
কিন্তু কেন কিভাবে
যাকে দেখে পথ চলা
কথা বলা ক্ষণিক চোখের কৃতকার্য,
বসুধা জানে সত্যটা —
তার মত করে ঢেলে সাজাই
জীবনস্রোতের অলিগলি।
নীড়ে এসে বলে,
ভুল পথে, নাকি বানান ভুল!
প্রতিটা শব্দের স্নেহে জড়ানোর
যে আকুল দাবি,
যে নিশ্বাসেও আমার স্পন্দন খোয়ার
মৃদু প্রায়াশ —
তা আজ ছন্দহীন পংক্তি।
যার গর্বে গর্বিত হবার যে উপাখ্যান,
সেখানেও নাকি নারাজ, নিরেট নিস্তব্ধ।
কই এত সংকোচ, এত বিড়ম্বনা —
তো এ শরীরে নেই।
যাকে চাওয়া হয় তার কাছে
হীনমন্যতায় নয়,
সবটা বিলিয়ে দেওয়াটাই যেন জয়।
কিছু বোধ, কিছু অভাববোধ,
কিছু না-পাওয়া —
সব মিলিয়ে যেন অস্তিত্বহীনতার সংকট মানুষের।
সেখানে আবদারে, আবেগে, যত্নে
হারিয়ে যেতে চাওয়া,
অতি সামান্যতেই অসন্তোষ তার —
বোঝেনি তাঁকে কেউ,
যেন না-পাওয়াকেই ফিরে পাওয়া।
চেয়েছিল তাঁকে জানতে —
গন্ধে, বর্ণে, শব্দে, ছন্দে,
তার শব্দে বানানো চির চেনা আলিঙ্গনও
বলতে নারাজ —
এখানেই তার ভয়,
“আমার জ্ঞানই নাকি তার সংকোচ!”
পাছে হারিয়ে যায় কি না।
অথচ বিশ্ব সংসার জানে —
এখানে তার জন্য বসে আছে
মৃত্যুপথযাত্রী,
তার সংকোচ-বোধ দূর করতেই।
অথচ সে শব্দ দিতেই নারাজ।
অথচ সে জানে না,
তাঁকে ধরে পাশে থেকে
বহুদূর চলতে চায়।
ভুল বোঝাটাই নাকি
এইখানের মৌলিক দায়িত্ব হয়ে উঠেছে।
অতঃপর ছেড়ে দিয়েছি পরিধিতে।
যেদিন তার মনে হবে,
যেখানে ভালোবাসা নেই অভিমান —
সেখানে অকৃতকার্য।
আর যেখানে আছে,
সেখানে প্রতিটি শব্দে
অভিমান লুকানো।
ভালবাসতে জানতে হয়।
— সঞ্জয়